BREAKING NEWS বর্ধমান পৌর এলাকায় নয়া নির্দেশিকা জারি : দোকান , বাজারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল

11th August 2020 10:00 am বর্ধমান
BREAKING NEWS  বর্ধমান পৌর এলাকায় নয়া নির্দেশিকা জারি : দোকান , বাজারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : করোনা ভাইরাস  এর সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে মানুষের জীবিকার উপর প্রভাব পড়েছে ।তাকে স্বাভাবিক করার জন্য শুরু হয়েছে আনলক পদ্ধতি । এই অবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লক  ডাউনের বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়ছে। জনজীবনকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে । এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এই অবস্থায় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনজীবনকে স্বাভাবিক রেখে সংক্রমণের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বর্ধমান শহরবাসির উদ্দেশ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন হাট-বাজার খোলা ও বন্ধ করার সময়সূচী । পাইকারি ও খুচরো দোকান খোলার সময় একসঙ্গে আছে মিষ্টির দোকান হোটেল রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন সময়সূচী । নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে  পাইকারি মাছ ও সব্জি বাজার খোলার সময় ভোর  ৪ টে  থেকে সকাল ৭ টা। খুচরা বাজারে সব্জি, মাছ, মাংস পাওয়া যাবে সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১০:৩০  পর্যন্ত । ফলের বাজার ও ফলের দোকান খোলা থাকবে সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। চা এর দোকান ভোর চারটে থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত  খোলা থাকবে।মুদির দোকান খোলা বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। অন্যান্য দোকান সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত । হোটেল ও রেস্টুরেন্ট দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা  থাকবে । বর্ধমান শহরের নতুনগঞ্জ  পাইকারি বাজারে  বিক্রয়  এবং  পণ্য পরিবহনের  সময় সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। এই বাজারের পণ্য খালি করার সময় সন্ধ‍্যা ৬ টা থেকে রাত্রি ১০ টা । এছাড়াও জেলাশাসকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বর্ধমান শহরের বিসি রোড ও জিটি রোডের ধারে সমস্ত ব‍্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান একদিন অন্তর খুলবে । সোম - বুধ - শুক্র এবং মঙ্গল - বৃহস্পতি - শনি এই দুইভাগে দোকান খোলা যাবে । রবিবার শহরের সমস্ত দোকান , বাজার বন্ধ থাকবে । কঠোর ভাবে এই নির্দেশ মানতে হবে সকলকে । অন‍্যথায় আইনানুগ ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে । মানতে হবে সমস্ত স্বাস্থ‍্য বিধি । আগামী ১২ ই আগষ্ট ' ২০ থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশিকা বলে জানা গেছে । দেখে নিন জেলাশাসকের জারি করা নির্দেশিকা 👇👇





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।